২০২৪ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়ার সময় এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পেয়েছিল।
Published : 07 Feb 2025, 12:48 AM
তারল্য সংকটে থাকা এক্সিম ব্যাংকে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা সহায়তা পেতে যাচ্ছে এক্সিম ব্যাংক।
২০২৪ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় ব্যাংকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়ার সময় এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পেয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আড়াই হাজার কোটি টাকার সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কত বিতরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানি না।”
এ বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম আখতার হোসেন বলেন, “শরীর খারাপ আমার। পরে কথা বলব।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এক্সিম ব্যাংকের ওই তারল্য সহায়তা অনুমোদন করা হয় গত ২৭ জানুয়ারি।
সংকটে থাকা ন্যাশনাল, এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন- এই ছয় ব্যাংককে এর আগে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গভর্নর টাকা না ছাপানোর পক্ষে বলে এলেও অর্থ সংকটে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোকে নতুন টাকা ছাপিয়েই সরাসরি সহায়তা দেওয়া হয়।
৫ অগাস্টের পর ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এক্সিম ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যার মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলাম মজুমদারের বলয় থেকে বের হয়ে আসে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় সে সময়।
নতুন পরিচালকদের মধ্যে শেয়ারধারী পরিচালক তিনজন। তারা হলেন- মো. নুরুল আমিন, নজরুল ইসলাম স্বপন ও অঞ্জন কুমার সাহা। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এস এম রেজাউল করিম ও সনদধারী হিসাববিদ খন্দকার মামুনকে।
ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম মজুমদার ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তিনি নাসা গ্রুপেরও চেয়ারম্যান।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এখন তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
পুরনো খবর