০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১
কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন আইবিএম ও জেরক্স-এ। কম্পিউটার বিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেছেন সৌদি আরবের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই। একটি গল্পগ্রন্থ 'ঘূর্ণি নিলয়'। অন্যটি তার আত্মজ আমেরিকান-বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে নিয়ে সম্পাদনা 'ফাহিম সালেহ: স্বপ্নের কারিগর'। ৭০-৭২ সালে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সম্পাদক ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতি ও অভ্যন্তরীণ নীতিতে এতসব উথাল-পাতাল পরিবর্তন আনছেন, যার সবগুলোর হিসেবে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক পণ্ডিতদের জন্যও কঠিন হয়ে উঠেছে।
আমাদের দেশে দুয়েকজন কীর্তিমান মানুষ আছেন, যারা একুশে বা স্বাধীনতা পদকের মতো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন রীতিমতন জবরদস্তি করে। পুরস্কার পাওয়ার অযোগ্যরা অনেকেই পুরস্কার পেয়েছেন তদবিরের জোরে। তদবির যে প্রকাশ্যে হয় না, বলাবাহুল্য।তবে পুরস্কারের জন্য কারোর নাম ঘোষণা করার পর তা বাতিল বা স্থগিত করাটা গণহেনস্তার সামিল।
অনেকগুলো প্রদেশ নেই, এটা আমাদের দেশের কোনো সমস্যা নয়। আমাদের সমস্যা— আমরা আমাদের দেশ, বিভাগ, জেলা, ইউনিয়ন কোনোটাই ভালোভাবে চালাতে পারছি না।
গফরগাঁওয়ের হাসমত আলী বড় বেশি সৌভাগ্যবান, জীবদ্দশায় তার দেখে যেতে হয়নি বাড়ি নিয়ে শেখ হাসিনার এমন বাড়াবাড়ি। সেই হাসমত আলীর কথা বলছি, রিকশা-ভ্যান চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা যে মানুষটি ‘এতিম’ শেখ হাসিনার জন্য সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একখণ্ড জমি কিনে রেখে গিয়েছিলেন। এই সব ‘বিরল ভালোবাসা’কে শেখ হাসিনা তুচ্ছাতিতুচ্ছ করে দিয়ে দেশত্যাগ করেছেন।
ইসহাক দার বলতে পারতেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের গোয়াল থেকে ছুটে যাওয়া হারানো গাভী’, তাহলে হয়তো কিছুটা বুঝতে পারতাম আমরা। সত্যি, একাত্তরের আগে বাংলাদেশ ছিল ওদের গোয়াল ঘরে রশি দিয়ে বাঁধা। তারা প্রতিদিন দুধটা নিয়ে যেত, মাখন ও ঘি বানিয়ে খেত— রশিতে বাঁধা গাভীটা গোয়াল ঘরে শুয়ে শুকনো ঘাস চিবাত।
আবু সাঈদের বীরত্ব অন্যদের মাঝেও অনুরণিত হলো। তারাও সাহসের সমাচার জানিয়ে মিছিলের সামনে এগিয়ে আসলেন প্রতিদিন, যতদিন স্বৈরাচারের বন্দুকের আওয়াজ স্তব্ধ না হলো।