২০২০ সালে শেষবার রেপো রেট কমেছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর আবার তা কমায় লোন সস্তা হবে এবং মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Published : 07 Feb 2025, 06:28 PM
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) অবশেষে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, রেপো রেট ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এদিন পর্যন্ত চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতভাবে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে।
গত দু’বছর রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল। ২০২০ সালের মে মাসে লকডাউন চলার সময় শেষবার রেপো রেট কমেছিল। এর প্রায় পাঁচ বছর পর আবার তা কমল।
রেপো রেট হল সেই সুদের হার যে হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অর্থ ঋণ দেয়। রেপো রেট কমলে, তা সরাসরি ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদের হারের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে, সেই ব্যাংকগুলোর ঋণ নেওয়া সহজ হয়ে যায় এবং তাদের মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়।
আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানান, রেপো রেট কমানোর উদ্দেশ্য হল ঋণকে সস্তা করা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডে আরও উৎসাহ যোগানো।
বর্তমানে ভারতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হতে থাকার সময়ে আরবিআই এ পদক্ষেপ নিল। চার বছরে এরই মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। ফলে এখনই ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ না নিলে দেরি হয়ে যেত বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
তারা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তটি বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ঋণের কিস্তির ওপর, কারণ রেপো রেট কমানো হলে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার কমাতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য তা সুখবর। এতে যারা গৃহঋণ, গাড়ী ঋণ কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন, তাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের জন্যও সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে তাদের ব্যবসায়িক ঋণও সস্তা হতে পারে এবং তারা নতুন বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হতে পারে।
তবে সাধারণ মানুষের কতটা উপকার হবে তা নিয়ে প্রশ্নও আছে। অনেকে মনে করছেন, সুদের হার কমানোর পর ঋণের কিস্তি কিছুটা কমতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটা সহায়ক হতে পারে।
তবে, অন্যান্য বিষয় যেমন দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে প্রভাবও থাকতে পারে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আরবিআই-এর সিদ্ধান্তকে অনেকটা ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।