এ বছরের ২ অগাস্ট থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে অর্থ দিতে বাধ্য করা বা প্রতারণার বিষয়টি নিষিদ্ধ করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
Published : 07 Feb 2025, 03:16 PM
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক নতুন এআই নির্দেশিকার আওতায় ওয়েবক্যাম ও ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগকৃত কর্মীদের আবেগ ট্র্যাক করতে পারে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ইউরোপে নিষিদ্ধ করছে কমিশন।
এ বছরের ২ অগাস্ট থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে অর্থ দিতে বাধ্য করা বা প্রতারণার বিষয়টি নিষিদ্ধ করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আইনটি গত বছর প্রণয়ন করে ইউরোপীয় কমিশন, যার লক্ষ্য এআইভিত্তিক বৈষম্য, হয়রানি ও ম্যানিপুলেশন বা কারসাজি থেকে মানুষকে রক্ষা করা বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
“এ আইনের লক্ষ্য হচ্ছে, যারা ইউরোপীয় বাজারে এআই ব্যবস্থা সরবরাহ বা তৈরি করে তাদের জন্য আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া, এমনকি বাজার নজরদারি কর্তৃপক্ষের বেলাতেও আইনি সহায়তা মিলবে। তবে এসব নির্দেশিকা আইনত বাধ্যতামূলক নয়,” সাংবাদিকদের বলেছেন কমিশনের একজন কর্মকর্তা।
এ আইনে নিষিদ্ধ চর্চার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীদের আর্থিক ক্ষতি করার জন্য তৈরি এআইভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ। কারণ, এ ধরনের অ্যাপ বয়স, কোনো অক্ষমতা বা আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নিপীড়ন করে ব্যবহারকারীদের।
এ আইনে সমাজকল্যাণ সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বংশগতি ও বর্ণের মতো ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার করে এআইভিত্তিক সামাজিক স্কোরিং নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। অন্যদিকে পুলিশ কেবল তাদের বায়োমেট্রিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তির অপরাধমূলক আচরণের পূর্বাভাস দিতে পারবে না, যদি না এর পক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে।
নিয়োগকর্তারা কর্মীদের অনুভূতি ট্র্যাক করতে ওয়েবক্যাম ও ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্দেশ্যেও ব্যতিক্রম ও কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এআইভিত্তিক ‘ফেইশল রিকগনিশন’ প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল সিসিটিভি ক্যামেরা নিষিদ্ধ করেছে কমিশন।
এসব এআই নিয়ম কার্যকর করার জন্য বাজার নজরদারি কর্তৃপক্ষকে মনোনীত করার জন্য ২ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ।
এ এআই আইন লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের মোট বৈশ্বিক আয়ের ১.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।