গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানির নিট প্রফিট মার্জিন কমে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে, বলছে ওয়ালটন।
Published : 28 Jan 2025, 12:36 AM
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম।
২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ওয়ালটন ৩৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছিল। মুনাফা কমার বিষয়টিকে ‘সার্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন’ হিসেবে দেখাচ্ছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি।
সোমবার ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি আর্থিক হিসাব বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্রয়ের বিপরীতে কোম্পানির নিট প্রফিট মার্জিন আগের বছরের একই সময়ের ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে।
কোম্পানির অপারেটিং প্রফিট মার্জিনও পূর্ববর্তী বছরের ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নিট রেভিনিউয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয় আগের বছরের একই সময়ের ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।
ওয়ালটন বলছে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০.০৫ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একইসময়ে ছিল ১১.২৪ টাকা। তবে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে ওয়ালটনের ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের ৪.৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫.১৩ টাকা হয়েছে।
কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৬৪.০৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৬৫.৪৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বছরের প্রথমার্ধ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬.৯৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ২৭.১৬ টাকা ছিল।
এনএভিপিএস হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে ওয়ালটন বলছে, ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতার বিপরীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে সরবরাহকারীদের অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচুর কাঁচামাল কেনা হয়েছে। যে কারণে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সরকারি কোষাগারে ও কাঁচামাল সরবরাহকারীদের অর্থ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনওসিএফপিএস হ্রাস পায়।