“ছাত্রদল, শিবির ও সমন্বয়করা মিলে এ ভাঙচুর চালাচ্ছিল, কিছুটা ভাঙার পর থামানো হয়েছে”, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
Published : 08 Feb 2025, 12:23 AM
পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে সেখানে একটি মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সাইন বোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকালে ফরিদপুর বাজারে এস্কেভেটর (ভেকু) নিয়ে হাজির হয় ৩০-৩৫ জনের একটি দল। তারা শ্লোগান দিয়ে দুতলা কার্যালয়টি ভাঙতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ভাঙচুরের পর সেখানে বন ওয়ারীনগর মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খলিলুর রহমান সরকার বলেন, “উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বকু ও বিএনপি নেতা বনওয়ারীনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আমাদের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কার্যালয় বৈধ জায়গায়, বৈধ স্থাপনা। তারা সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে কার্যালয়টি ভেঙে মাদ্রাসার সাইন বোর্ড ঝুলিয়েছে। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাননি।“
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বকু বলেন, “কিছু ছাত্রদল, শিবির ও সমন্বয়করা মিলে এ ভাঙচুর চালাচ্ছিল। কিছুটা ভাঙচুরের পর সেটি থামানো হয়েছে। অন্য আরেকটি জায়গায় ভাঙচুরের পরিকল্পনা হয়েছিল, উল্টো আমরা সেটিও বন্ধ করেছি।”
এদিকে, ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি জানিয়ে ফরিদপুর থানার ওসি বলেন, “আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।”