”ক্ষোভ প্রকাশের এই প্রক্রিয়া আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সুগম না করে বরং তাকে জটিল করে তুলতে পারে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
Published : 07 Feb 2025, 07:41 PM
দেশে সরকার থাকা অবস্থায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা সরকারের অস্তিত্বকেই ’প্রশ্নবিদ্ধ করে’ বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন।
শুক্রবার দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল যৌথ বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। জনগণের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যে জনগণের ভেতরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তার ফলে এসব ঘটনা ঘটেছে।
”কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশের এই প্রক্রিয়া আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সুগম না করে বরং তাকে জটিল করে তুলতে পারে।”
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে রাজনৈতিক আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার থাকা অবস্থায় এরকম কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয় এবং সরকারের অস্তিত্বকেই তা প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা জুলাই গণহত্যার বিচার এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানাই।”
শেখ হাসিনার সরকার পতনের ছয় মাস পূর্ণ হয় গত বুধবার। এদিন রাতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, যিনি ৫ অগাস্ট ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে ভারতের দিল্লিতে আছেন।
এর আগেই বুধবার বিকালে আলোচিত ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকী ভট্টাচার্য ফেইসবুকে ‘ধানমণ্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল’ ঘোষণা করেন।
সেই আহ্বানে বিপুল মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলা হয় সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ অনেক নেতার বাড়িতে।