এতে রয়েছে ১৫টি ভ্রমণগদ্য। স্থান পেয়েছে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ানোর গল্প।
Published : 08 Feb 2025, 01:06 AM
প্রত্যেক মানুষ নিজের দৃষ্টি দিয়েই দেখেন। কেউ কেউ দেখার সঙ্গে যুক্ত করেন অন্তর্দৃষ্টিও। একেকজনের বাংলার মুখ দেখার পদ্ধতি হয়তো ভিন্ন রকমের। শফিক হাসান উল্লিখিত দুই পদ্ধতিতেই যেন দেখেন তার চিরচেনা কিংবা অচেনা বাংলাদেশকে।
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার ভ্রমণবই ‘দেখি বাংলার মুখ’। এতে রয়েছে ১৫টি ভ্রমণগদ্য। স্থান পেয়েছে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ানোর গল্প। ভ্রমণগদ্যগুলোর শিরোনামে চোখ বোলালেই বোঝা যাবে, কেমন মালা গেঁথেছেন তরুণ এই লেখক।
বইয়ের শুরুতেই রয়েছে বড় পরিসরের ভ্রমণবৃত্তান্ত ‘বৃষ্টিভেজা নড়াইল, পল্লীকবির বাড়ি ও ঝিনাইদহের গল্প’। বৃহৎ পরিসরের আরও দুটি ভ্রমণগদ্য হচ্ছে, ‘রঙ্গ-রসের রংপুরে কিছু আলো, কিছুটা অন্ধকারে’, ‘পুণ্ডুরনগরের পথে-ঘাটে, পুরাতত্ত্ব ও মিথের জাদু’।
অন্য ভ্রমণগদ্যগুলোর বিষয়বস্তুও শিরোনাম থেকেই অনুমেয়- ‘লালন ফকির ও রবীন্দ্রনাথ ভূমি-তালাশে’, ‘কেওক্রাডং চূড়ায় উচ্চতার মেলায়’, ‘নদী পেরিয়ে বরিশালে’, ‘গীতিকার দেশে’, ‘শেকড়ের সন্ধানে মুজিবনগরে’, ‘কক্সবাজারে সমুদ্রভোজনে’, ‘স্মৃতি বিস্মৃতির চট্টগ্রামে’, ‘মাদারীপুরের স্বর্ণরেণু’, ‘তূর্ণা নিশিথায় নিশিযাপন’, ‘হাতিরঝিল ভেসে যায় জলজোছনায়’, ‘কাহারোলে অন্য রোল’, ‘ঝিম সবুজের হাতছানি দেয় শ্রীময়ী সিলেট ও শ্রীমঙ্গল’।
ভ্রমণগদ্য লেখার নেপথ্য সংযোগসূত্র উল্লেখ করে শফিক হাসান বলেন, “ভ্রমণ করা হয়তো সহজ কিন্তু কাহিনি বর্ণনা দুরূহ। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া কতকিছুই! না সবুজ ঘাস, না শিশিরবিন্দু নামক টলমলে জল। এই অনেককিছু দেখতে না পারার আক্ষেপ কি কখনো ঘুচবে! সব ভোরই সমান, কিন্তু নতুন কোনো জায়গায় ভোর দেখার আনন্দ অন্যকিছুতে পাই না।”
ভ্রমণে মূলত কী খোঁজেন, কেন ভ্রমণ করেন? জানতে চাইলে এই লেখক বলেন, ‘অদেখা সুন্দর ছাড়া আর কী খুঁজব ঘরের বাইরে গিয়ে! শস্যবতী ধানখেতে দোলা দেওয়া বাতাস, নীরবে ফুটে থাকা নাম না জানা ফুল, জলাশয়ে হাঁসের অবাধ সন্তরণ, গাছের ডালে মাছরাঙার ধ্যানী-শিকারি দৃষ্টি, পাখির কিচিরমিচির, গৃহস্থের পোষা গবাদি পশু-পাখির চাঞ্চল্য, হরেক রকম পাখপাখালির কূজন... সর্বোপরি বিশাল বাংলার সবুজ শ্যামলিমা আমাকে বিস্ময়-বিমূঢ় করে রাখে।”
‘দেখি বাংলার মুখ’ বইটির প্রকাশক অনুপ্রাণন প্রকাশন। বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলায়, স্টল নম্বর: ৬৯৫-৬৯৬-৬৯৭। ১৪৪ পৃষ্ঠার এই বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন আইয়ুব আল আমিন। মুদ্রিত মূল্য ৪০০ টাকা।