অনুষ্ঠানে বাংলালিংক আগামীর বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন’ ত্বরান্বিত করতে একটি ‘রোডম্যাপ’ উন্মোচন করে।
Published : 29 Jan 2025, 07:04 PM
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের জন্য ‘এআইনির্ভর’ আগামী এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে টেলিকম অপারেটর বাংলালিংক।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় বলে বাংলালিংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে দুই দশকে বাংলালিংকের রূপান্তরমূলক যাত্রায় আলোকপাত করেন শিল্পখাতের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক অংশীদার ও সরকারি অংশীজনরা।
আগামীর বাংলাদেশে ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন’ ত্বরান্বিত করতে বাংলালিংক অনুষ্ঠানে একটি ‘রোডম্যাপ’ উন্মোচন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল ২০ বছর ধরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে অবদান এবং সাশ্রয়ী ‘ভয়েস কল’ সেবা প্রদানকারী হিসেবে বাংলালিংক ‘দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের চালিকাশক্তিতে’ পরিণত হয়েছে।
দেশের প্রথম টেলকো-সুপারঅ্যাপ ‘মাইবিএল’, জনপ্রিয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’ এবং তরুণদের জন্য প্রথমবারের মত ‘এআই’ভিত্তিক ডিজিটাল সমাধান ‘রাইজ’ নিয়ে বাংলালিংক ‘দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল উদ্ভাবনের ভূমিকা রাখছে’ বলে এ কোম্পানির ভাষ্য।
বাংলালিংক বলছে, এসব মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করার উপকরণ ও উদ্যোক্তা-বান্ধব সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে তারা।
“মাইবিএল সুপারঅ্যাপে মাসিক ৮০ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারী এবং ৭০ লাখ ব্যবহারকারী নিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে টফি।”
বাংলালিংকের মালিক কোম্পানি ভিওনের বোর্ড চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা অনুষ্ঠানে বলেন, “২০ বছর ধরে আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ডিজিটাল সেবার মান প্রতিনিয়ত উচ্চতায় নিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
“আমরা দেশের ডিজিটাল সক্ষমতা নেতৃস্থানীয় পর্যায় নিতে পেরেছি। আগামীর পথে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলালিংক।”
ভিওনের গ্রুপ সিইও এবং বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান কান তেরজিওগ্লু বলেন, “এ দেশের মেধাবীদের হাতে তৈরি ‘টফি’, ‘মাইবিএল’ ও ‘রাইজে’র মত ডিজিটাল সেবা বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিয়েছে।
“আমরা বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে আগামীতেও বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। বিশেষ করে আমরা এ দেশের মেধাবী ও প্রযুক্তি-প্রেমী তরুণদের বিকাশ নিশ্চিতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ করব।”
সকলের জন্য ‘এআই’ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় সকলের জন্য এআই-ভিত্তিক ডিজিটাল সেবা সহজলভ্য করতে কাজ করছি।
“আমরা সরকার ও বেসরকারি খাতের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও উদ্যোক্তাদের এআই-সক্ষম করে তুলতে কাজ ডিজিটাল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি বিকাশে বাংলাদেশি ও স্থানীয় ব্যবসার জন্য ‘এআই’র মত আধুনিক প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”