বিপিএলের ফাইনাল শেষে ফরচুন বরিশালের ট্রফি গ্রহণ করেন শান্ত, হৃদয় ও রিশাদ, তাদেরকে মঞ্চে সঙ্গ দিলেও ট্রফি নেননি তামিম।
Published : 08 Feb 2025, 09:01 AM
পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তামিম ইকবালের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার শেষে ট্রফি দেওয়ার পালা। মঞ্চে অতিথিদের কাছে যাওয়ার আগে নিজ দলের ক্রিকেটারদের দিকে কিছু বললেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক। তখন মঞ্চের দিকে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের সঙ্গী হলেন রিশাদ হোসেনও। তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হলো বিপিএলের ট্রফি।
ট্রফির জন্য এই তিনজনকে বেছে নেওয়ার পেছনে আছে তামিমের বিশেষ এক ভাবনা। এবারের আগে বিপিএলে তিনটি করে ফাইনাল হারের তিক্ত স্মৃতি ছিল শান্ত ও হৃদয়ের। রিশাদ পেয়েছিলেন একটি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হারের অভিজ্ঞতা। এবার তাদের প্রথম ট্রফি জয়ের মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখার আয়োজনই করলেন তামিম।
বিপিএল ফাইনালের সঙ্গে যেন অদ্ভুত এক বৈরিতা ছিল হৃদয়ের। এবারের আগে টানা তিন আসরে ভিন্ন তিনটি দলের হয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হেরে যান তরুণ ব্যাটসম্যান। ২০২২ সালে ফরচুন বরিশাল, ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও গত বছর রানার্স-আপ হওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অংশ ছিলেন হৃদয়।
একই অবস্থা ছিল শান্তর। ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের জার্সিতে রানার্স-আপ হন তিনি। পরে ২০২২ ও ২০২৩ সালে হৃদয়ের সতীর্থ ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। রিশাদ ছিলেন গতবার রানার্স-আপ হওয়া কুমিল্লা দলে।
২০২৫ সালে তিনজন খুললেন সেই গেরো। অবশেষে পেলেন বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বললেন, ওই ত্রয়ীকে বিশেষভাবে সম্মান জানাতে ট্রফি নেওয়ার এমন আয়োজন।
"আমি দুইবার ট্রফি জিতেছি। হৃদয়ের কথা যদি চিন্তা করেন, সে সম্ভবত দুই-তিনটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। শান্তর ক্ষেত্রেও একই। এই ট্রফি তাদের কাছে আমার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ... রিশাদের ক্ষেত্রেও। আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো ওদের এই সম্মানটা দিতে পারি যে, ট্রফিটা ওরা নিজের হাতে তুলুক।"
চিটাগং কিংসের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলেছেন হৃদয় ও রিশাদ। কিন্তু সুযোগ পাননি শান্ত। দলীয় সমন্বয় বিবেচনায় গোটা আসরে শান্তকে ৫ ম্যাচের বেশি খেলায়নি বরিশাল। তার পরও শান্ত যেভাবে দলের সঙ্গে মিশে গেছেন, সেটার প্রশংসা টুর্নামেন্টজুড়ে কয়েকবারই করেছেন। ফাইনাল শেষে সেটিই তুলে ধরলেন আরেকবার।
"শান্তর ব্যাপারে বলি... জাতীয় দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। কিন্তু আমার কম্বিনেশনের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কিছু দিন আগেও বলেছি, খেলার প্রতি, দলের প্রতি ওর নিবেদন দুর্দান্ত। আমি জানি, ওর জন্য না খেলা অনেক অনেক কঠিন ছিল। তবে ও সেটা দেখায়নি। যা আমাদের কাজ সহজ করেছে।"