এসএ টোয়েন্টি থেকে বিপিএল ফাইনালের আগে ফরচুন বরিশাল দলে যোগ দেন জিমি নিশাম, তবে নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডারকে ফাইনালের একাদশই রাখেনি চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 08 Feb 2025, 09:13 AM
এলেন, দেখলেন, চলে গেলেন। ব্যস, জিমি নিশামের বিপিএল অভিযানের গল্প শেষ!
বিপিএলের ফাইনালে এবার ফরচুন বরিশালের একাদশ দেখে চমকে যান অনেকেই। নিশাম নেই! এমনিতে কোয়ালিফায়ারে জয়ী হওয়া একাদশ ফাইনালেও ধরে রাখার প্রবণতা বেশি থাকার কথা। জয়ী কম্বিনেশন ভাঙতে অপছন্দ করে অনেক দলই। কিন্তু এবার ফাইনালে আগে নিশামকে ঘটা করে উড়িয়ে এনে যখন স্কোয়াডে যোগ করা হলো, ধরেই নেওয়া হয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারকে খেলানো হবে।
ম্যাচের নানা পর্যায়ে টুকটাক এরকম মনেও হয়েছে, নিশামকে একাদশ রাখলে হয়তো লাভবান বেশি হতো বরিশাল। বিশেষ করে, বোলিংয়ে ব্যর্থতার পর মোহাম্মদ নাবি যখন ব্যাট হাতেও দলকে হতাশ করে আউট হলেন, নিশামের কথা তখন মনে পড়ারই কথা।
তবে ফাইনাল জয়ের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল হাসিমুখে জানান, নিশামকে জরুরিভাবে উড়িয়ে আনা হলেও না খেলানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না কখনোই।
“আমি খুবই পরিষ্কার ছিলাম (ভাবনায়)। এই ব্যাপারটি আমি দলের কর্ণধারকেও বলেছি আগেই। জিমি নিশামকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়িয়ে এনে, ম্যাচ পেমেন্ট দিয়ে খেলাতে হতো… আমি আগেই বলেছি, ওকে আনা হচ্ছে এই কারণে যে, কোনো ইনজুরি ইস্যু যদি হয়।”
“কারণ আমাদের স্কোয়াডে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে (বাড়তি) একজন ছিলেন ফাস্ট বোলার। কিন্তু যদি কোনো ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডারের ইনজুরি হয়, গতকালকে অনুশীলনে বা আজকে ম্যাচের আগে গা গরমে কারও যদি ব্যাথা লাগত, তার পরিবর্তে নেওয়ার মতো কেউ ছিল না। এজন্য কাউকে আমার লাগতই। ওর মতো একজনকে পাওয়া মানে তো দারুণ এক বিকল্প থাকা।”
গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন নিশাম। এবার বিপিএলে আসার আগে তিনি ব্যস্ত ছিলেন এসএ টোয়েন্টিতে। তবে বিপিএলের বাস্তবতা যে ভিন্ন, ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে তা ম্যাচের আগের দিনই বলে রেখেছিলেন অধিনায়ক তামিম।
“অবশ্যই সব দলেই খেলার সুযোগ তার প্রাপ্য। বিশেষ করে, বিপিএলে তো যে কোনো দলেই খেলতে পারে। তবে আমার মনে হয়, যে ক্রিকেটাররা সাত-আট ম্যাচ ধরে খেলছে, উইকেট ও প্রতিপক্ষ যারা বুঝতে পারে… এদের সঙ্গে আমাদের তিনটি ম্যাচ হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে… জয়ী কম্বিনেশন ধরে রাখা… সব কিছু মিলিয়েই নিজের ভাবনা আমি খুব পরিষ্কার ছিলাম যে, একাদশ বদলাব না। আমি জিমি নিশামকে এটা কালকেই বলে দিয়েছিলাম।”
শেষ পর্যন্ত নিশামকে ছাড়াই দারুণ জয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতেন তামিমরা।