সভায় দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অগ্রগতি এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
Published : 06 Feb 2025, 07:30 PM
জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সহযোগিতায় একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফোরজিং আ শেয়ার্ড ফিউচার’ শীর্ষক এ সভা হয় বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ব্যাংকটি।
সভায় দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অগ্রগতি এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় দেশের ব্যাংকিং খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (জেভিসিএ) সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্র্দেশিকা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কৌশলগত সহযোগিতা পরিকল্পনা, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) অগ্রগতি এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীরা যেসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেছেন, “জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৩ বছরের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব আমাদের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
“এছাড়া আমরা এ ধরণের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যেখানে নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রকরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য মতবিনিময় করতে পারেন।”
সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম নীতিগত সংস্কার এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশে জাইকার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর কথা তুলে ধরে সভায় বক্তব্য দেন জাপান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে।
তিনি বলেন, “উদ্যোগগুলোর মধ্যে শিল্প বৈচিত্র্যকরণ এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং শুল্ক উন্নতির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে।”
আলোচনায় জেট্রোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্দো বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিডার সাম্প্রতিক সার্কুলারটি ন্যাশনাল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশন (এনভিসিএ) গঠনের প্রক্রিয়া, কার্যক্রম এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিবেদন সহজ করার জন্য আরও স্পষ্টতা ও নমনীয়তা প্রয়োজন। সেজন্য সুদবিহীন ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ, আউটওয়ার্ড রেমিটেন্স সম্পাদন সহজ করা, পূর্ববর্তী জেভিচিএর জন্য এই সার্কুলারের প্রয়োগ দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ইপিএ চুক্তির ফলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে জানিয়ে জেবিসিসিআই-এর সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, “বাংলাদেশ জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে।”
অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল একটি পারস্পরিক প্রশ্নোত্তর পর্ব। এটি পরিচালনা করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের গ্লোবাল সাবসিডিয়ারিজ বিভাগের প্রধান ফয়সাল ইসলাম। এ পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
সেশন শেষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কর্পোরেট কভারেজ বিভাগের প্রধান এনামুল হক জাপানের বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।