সরকারি পরিষেবার বিভিন্ন ফি ও চার্জও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
Published : 07 Feb 2025, 07:14 PM
অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে খরচ বাড়ছে গ্রাহকের; প্রতিমাসে পাঁচটির বেশি লেনদেনের প্রতিটির জন্য এখন দ্বিগুণ চার্জ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এক সার্কুলারে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমানে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুললে ১৫ টাকা চার্জ দিতে হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনে প্রতি মাসে পাঁচটির বেশি লেনদেন করলে প্রতি লেনদেনের জন্য এটিএম কার্ডধারী গ্রাহকের খরচ হবে ভ্যাটসহ ৩০ টাকা।
প্রথম পাঁচটি লেনদেনের ক্ষেত্রে আগের মতই ১৫ টাকা দিতে হবে। তবে প্রতি লেনদেন হতে হবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। এর বেশি হলেই ৩০ টাকা চার্জ দেওয়া লাগবে।
এছাড়া ব্যাংক হিসাবের খুদে বিবরণীর জন্য ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া এ চার্জের একটি অংশ কার্ড প্রদানকারী (ইস্যুয়িং) ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান টাকা প্রদানকারী এটিএম বুথের (অ্যাকোয়ারিং) ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে।
দেশের অভ্যন্তরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক লেনদেনপ্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা অ্যাকোয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
অপরদিকে এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। এ চার্জ অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।
সার্কুলারে সরকারি পরিষেবার বিভিন্ন ফি ও চার্জও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ টাকা এবং এর বেশি অর্থ পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ নিতে পারবে ব্যাংক।
এছাড়া এমএফএস বা পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেনপ্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা নিম্নতর তা আদায় করা যাবে।